নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বইছে নির্বাচনী হাওয়া। এই ১২টি ইউপিতে চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, মিছিল মিটিং তত বাড়ছে এবং প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে দিন-রাত সময় দিচ্ছেন।
উপজেলার প্রতিটি ইউপিতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে ভরে গেছে ইউপির হাটবাজার ও গ্রামাঞ্চলের অলি-গলি, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনায়। সকাল থেকেই মাইক দিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয় আর রাত আটটায় শেষ হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করছেন প্রার্থীরা। চায়ের দোকানে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী প্রার্থীদের নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
এবারের ইউপি নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কার করলেও কোনো কোনো ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। এ ছাড়াও সংরক্ষিত এবং সাধারণ সদস্য পদে ও একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। হাট-বাজারে বিভিন্ন চায়ের দোকানে দিচ্ছেন নির্বাচনী আড্ডা। প্রতিটি ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের দাবি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হোক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার লোহাগড়া, জয়পুর, লক্ষ্মীপাশা, এড়েন্দা, ইতনা, নোয়াগ্রাম, মানিকগঞ্জ, দিঘলিয়া, শিয়রবর, মাকড়াইল, লাহুড়িয়া, মল্লিকপুর, আড়িয়ারা, চাচই, আমড়াঙ্গা, মরিচ পাশা, ধানাইড়, গন্ডব, নলদী, কলাগাছি, রায়গ্রাম, কালনা, কামঠানা, কাউড়িখোলা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার ও পোস্টারে ভরে গেছে। মহাসড়ক ও ছোট বড় সড়কে গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রার্থীদের পোস্টার। সব মিলিয়ে লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউপিতে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।