নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা করোনাভাইরাসের টিকার বাকি চালানগুলো ডিসেম্বর থেকেই দেশে আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। তিনি আশা করেন, ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশেই করোনার টিকা উৎপাদন সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আগামী মাস থেকে ভারত থেকে আবার টিকা আসা শুরু করবে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে ভারত থেকে সব টিকা চলে আসবে।’
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা ভারতে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। এ কোম্পানি থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করার দায়িত্ব বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের। কিন্তু দুই চালানে মোট ৭০ লাখ ডোজ টিকা আসার পর আর টিকা পাঠায়নি ভারত।
বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন শুরুর বিষয়ে সালমান রহমান বলেন, ‘ইনসেপ্টার টিকা তৈরি করার সমস্ত সক্ষমতা আছে। চীনের সঙ্গে শর্তগুলো ঠিক হয়ে গেলে তারা উৎপাদনে যেতে পারবে।’ আর বেক্সিমকো আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই টিকা উৎপাদনের ‘সক্ষমতা অর্জন করবে’ বলে জানান তিনি।
মিট দ্য রিপোর্টার্সে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমার মনে হয় এটি কমে আসবে। দাম কমে আগের পর্যায়ে না গেলেও এটি কমবে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যে পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে তা কিন্তু নয়। বরং শিপিংয়ের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। শিপিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কনটেইনারের পরিবহনেও খরচ অনেক বেড়েছে।’
পুঁজিবাজার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের চিত্র পুরো উল্টো বাংলাদেশে। আমাদের পুঁজিবাজার ইক্যুইটি-ভিত্তিক। এখানে বন্ড মার্কেট নেই। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান ও কমিশনারও এ বিষয়ে আন্তরিক। আশা করা যায়, বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় হলে পুঁজিবাজার চাঙা হবে।’