চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে থাকা সেই বৃদ্ধার শরীরে মাঙ্কিপক্স বা কোনো পক্সের উপসর্গ পায়নি মেডিকেল বোর্ড। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. আবুল হোসেন।
ডা. আবুল হোসেন বলেন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ওই বৃদ্ধার শরীরে ফোসকা পড়েছে। তাঁকে সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই কক্ষেই থাকবেন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, সদর উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। তাঁর শরীরে মার্বেল ধরনের অসংখ্য ফোসকা ছিল। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন ওই বৃদ্ধাকে দেখেন। ওই বৃদ্ধার শরীরে এক ধরনের পক্সের উপসর্গ দেখে বিষয়টি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানান। পরে তাদের পরামর্শে ওই বৃদ্ধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে তাঁকে হাসপাতালে এনে আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল বোর্ডের প্রধান আবুল হোসেন বলেন, শুক্রবার ওই বৃদ্ধার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহের পর এটি মাঙ্কিপক্স বা কোনো পক্সই নয় বলে নিশ্চিত হয়েছি। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তাঁর শরীরে ফোসকা পড়েছে। তার চিকিৎসার জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। খুব শিগগির সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি।