শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কৃষক শাহাদাত হোসেন (৩৪) পটোল চাষ করে লাভবান হয়েছেন। খরচের পাঁচ গুণ মুনাফা অর্জনের আশা করছেন তিনি। বছরজুড়েই চাহিদা থাকায় এবং অন্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় পটোল চাষে ঝুঁকেছেন শাহাদাত হোসেন। এদিকে এই সবজির আবাদ বাড়াতে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছে গোসাইরহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের মহেশ্বরপট্টি গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেন গত চৈত্র মাসে ১৬ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন পটোলের আবাদ। প্রথমবারেই তিনি সফলতা পান। এখন তিনি নিজের ১৬ শতাংশ জমির সঙ্গে আরও ১৯ শতাংশ জমি বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ জমিতে করতে চান পটোলের চাষ।
শাহাদাত হোসেন জানান, যশোরের চৌগাছা থেকে কাটিং লতা সংগ্রহ করে তাঁর ১৬ শতাংশ জমিতে কাজলা জাতের পটোল চাষ করেছেন। জমি তৈরি থেকে শুরু করে, বীজ, সার, মাচা তৈরিসহ সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। ১৬ শতাংশ জমি থেকে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই আড়াই মণ পটোল তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। গত চৈত্র মাস থেকে চলতি আষাঢ় মাস পর্যন্ত প্রতি কেজি তিনি ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি দামে বিক্রি করেন। ফলন ভালো হলে এখান থেকেই সব খরচ বাদ দিয়েও বছর শেষে প্রায় ১ লাখ টাকা টাকা লাভ হবে বলে আশা করেন শাহাদাত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, গোসাইরহাটে এই প্রথম ১৬ শতাংশ জমিতে পটোল চাষ করে লাভবান হয়েছে শাহাদাত। তিনি নিজ উদ্যোগে পটোলের কাটিং আনার পর কৃষি কার্যালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী পটল চাষ করেন। এ পর্যন্ত তিনি ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন, আরও ১ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেছেন।