শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরকান্দি রুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরিতে যানবাহনের চাপ কিছুটা কমেছে বলে বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে। গত চারদিন ধরে মাঝিরকান্দি নৌপথে ২-১টি ফেরি পরীক্ষামূলকভাবে যানবাহন পারাপার শুরু করেছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতুর নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নৌপথে চারটি ফেরি সীমিত সংখ্যক যানবাহন পারাপার করছে। তবে ফেরি ও সময় স্বল্পতার কারণে নৌপথে যানবাহনের বেশ চাপ তৈরি হয়। অসংখ্য যানবাহন পদ্মা পার হতে না পেরে ঘাটে অপেক্ষায় থাকে। ফলে নৌপথে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়তেই থাকে। এদিকে, গত মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে জাজিরার মাঝিরকান্দি নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু করে। এতে করে বাংলাবাজার রুটে যানবাহনের চাপ কিছুটা কমেছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল সাতটায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতা প্রায় ৪টি যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে জাজিরার মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এরপর থেকে ওই নৌপথে দুই-একটি ফেরি চলাচল করছে। এতে করে বাংলাবাজার রুটে যানবাহনের চাপ কিছুটা কমেছে।
বাংলাবাজার ঘাটে গতকাল শনিবার ঢাকাগামী প্রাইভেটকার চালক মো. রেজাউল বলেন, ‘গত সপ্তাহে ঘাটে এসে বসে থেকেও পদ্মা পার হতে পারিনি। বেলা ১১টার দিকে ঘাটে এসেছিলাম। তবে আজকে (শনিবার) ঘাটে মনে হলো চাপ একটু কম। ঘাটে এসে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। পরে শুনলাম, মাঝিরকান্দি রুট দিয়েও ফেরি চলাচল শুরু করেছে। এ কারণেই চাপ একটু কম। তবে পুরোপুরি ভোগান্তিমুক্ত হতে সময় লাগবে।’
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শরিয়তপুরে পরীক্ষামূলক ফেরি চলছে। কিছু যানবাহন নতুন রুটে পারাপার হওয়ায় বাংলাবাজার ঘাটে যানবাহনের চাপ একটু কমেছে।’