খুলনার পাইকগাছার লস্কর ইউনিয়নের মিনহাজ বাজার থেকে গড়ুইখালী ইউনিয়নের বাসাখালী পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় পিচ ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের আলমতলা মোড় থেকে গড়ুইখালী পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওয়াপদা বাঁধের ওপর দিয়ে পিচের রাস্তা। এ সড়ক দিয়ে লস্কর ইউনিয়ন ও গড়ুইখালী ইউনিয়নসহ পাশের দাকোপ উপজেলার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু লস্কর ইউনিয়নের মিনহাজ বাজার থেকে গড়ুইখালী ইউনিয়নের বাসাখালী পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের পিচ-খোয়া উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু গাজী জানান, সড়কটির পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
মোটরসাইকেল চালক জাফর আলী গাজী বলেন, ‘আমি গত রাতে পাইকগাছা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বাসাখালী নামক স্থানে খোয়া সরে পড়ে যাই। ওই সময় যাত্রী ও আমি আহত হই। শুধু আমি না প্রায় সময় নসিমন-করিমন চালকেরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে মোটরসাইকেল ও নসিমন, করিমন ও ইজিবাইকের যন্ত্রাংশ।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান জানান, ‘আলমতলা-গড়ুইখালী সড়কের মিনহাজ বাজার থেকে বাসাখালী সরদার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার স্থানের পিচ উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সংস্কারের জন্য আমরা বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানিয়ে কাজ হয়নি। আমরা বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।’
গড়ুইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল ছালাম কেরু বলেন, ‘সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি আমি পাইকগাছা কয়রার সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর কাছে উপস্থাপন করেছি। দ্রুতই আলমতলা থেকে গড়ুইখালী পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যে আলমতলায় সংস্কারের কাজ হয়েছে। আগামী বাজেটে মিনহাজ বাজার থেকে গড়ুইখালী বাজার পর্যন্ত কাজ করা হবে।’
লস্কর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের সড়কের কম অংশ খারাপ হয়েছে। তারপরেও আমি উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এ কাজটি করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানের বলেন, ‘রাস্তাটি স্থানীয় সরকারের (এলজিইডি) অধীনে। আমরা ইতিমধ্যে কিছু সংস্কারের কাজ করেছি। বাকি রাস্তার জন্য কাজ কাগজপত্র তৈরি করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু করা হবে।’