নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ধনাই নদের ওপর নির্মিত সেতুটি এখন এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় নদ থেকে কম উচ্চতায় সেতু নির্মাণ করায় এই দুর্ভোগ। এতে সড়ক যোগাযোগ চালু হলেও নৌপথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে সেতুটি নির্মাণের আট বছরের মাথায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে এর ওপর দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এলাকাবাসী জানান, সঠিক উচ্চতায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণের সময় এলাকার লোকজন আরেকটু উঁচু করে সেতুটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জনগণের দাবিকে পাত্তা দেয়নি। এ ছাড়া এটি নির্মাণেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে আট বছরেই সেতুটির কয়েকটি পিলার ভেঙে অকেজো হয়ে পড়েছে।
সেতুটি নির্মাণে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। তারা মানুষের উপকারের কথা চিন্তা না করে নিজেদের পকেট ভারী করা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এই সেতু নির্মাণে এলাকার মানুষের কোনো উপকার হয়নি, উল্টো নৌপথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়ে জনগণের ক্ষতি হয়েছে।
সাহতা এলাকার জসিম উদ্দিন বলেন, নদে এত নিচু সেতু আর কোথাও দেখিনি। এই সেতু হওয়ায় এলাকাবাসীর কোনো লাভ হয়নি। উল্টো নৌপথ বন্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা এলাকার ধনাই নদের ওপর ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ দশমিক ৭ মিটার প্রস্থ এই সেতু নির্মাণ করা হয়।
নির্মাণের জন্য ২০১১ সালে এনটিটি-এমএআর (জেবি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। নির্মাণ শেষে ২০১৪ সালের জুন মাসে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
নেত্রকোনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম সেখ বলেন, সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। অচিরেই পরিদর্শনের পর বিশেষজ্ঞ রিপোর্টের ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কার করা হবে।