পাবনার আটঘরিয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা। উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় বাজারে দাম কম থাকায় লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় চাষ করা পেঁয়াজের প্রায় ৯০ শতাংশ মাঠ থেকে সংগ্রহ শেষ হয়েছে। শ্রমিকের মূল্য পরিশোধ করতে বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে গিয়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ছেন চাষিরা।
উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের কয়রাবাড়ী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২০-২৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ৪০-৪৫ মণ। বর্তমান বাজার মূল্যে বিক্রি করা যাবে ২৮-৩০ হাজার টাকা।’
উপজেলার পাটেশ্বর গ্রামের পেঁয়াজচাষি মো. শিহাব উদ্দিন জানান, পেঁয়াজ চাষের শুরুতে ঋণ নিয়ে উৎপাদন ব্যয় মিটিয়েছেন। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। পেঁয়াজের মূল্য কম থাকায় এখন ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সজীব আল-মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার কৃষকদের জন্য স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে ব্যাংকে আবেদন করলে সেই ঋণের টাকা পাবেন।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় বেশির ভাগ জমিতে তাহেরপুরী জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও কলসনগর, কিং জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।