নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
কারফিউর চতুর্থ দিন গতকাল মঙ্গলবার বিভাগীয় শহর রাজশাহীর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক দেখা গেছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। রাস্তায় পর্যাপ্ত রিকশা-অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করেছে।
বিশেষ করে বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ঘোষণা করা হলে রাজশাহীর পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। রাস্তায় নামে মানুষের ঢল। সকালে অবশ্য মানুষের চলাচলে কিছুটা কড়াকড়ি দেখা গেছে। সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, সোনাদিঘি, মালোপাড়া, কাদিরগঞ্জ, রেলগেট, রাণীবাজার, কুমারপাড়া, আলুপট্টি, তালাইমারী, ভদ্রা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কাজলা, বিনোদপুর, চৌদ্দপাই এবং কাটাখালী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মানুষের চলাচল বেড়েছে। রিকশা-অটোরিকশাও পর্যাপ্ত চলাচল করছে। কিছু কিছু দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে। এসব মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেও দেখা গেছে।
রাজশাহী থেকে এখনো আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কারফিউর মধ্যে রাজশাহীর হজরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দরের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলাদেশ বিমানসহ দুটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজশাহী-ঢাকা ও রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে ট্রাক এবং পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র্যাব-৫-এর রাজশাহীর অধিনায়ক ফিরোজ কবীর। তিনি জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজশাহীতে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত, শিবির এবং বাইরে থেকে আসা ভাড়াটে সন্ত্রাসীও রয়েছে।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, রাজশাহীর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তারপরও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র্যাবও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার সামনে র্যাব সদস্যরা রয়েছেন।