Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

মানুষের লোভে খালের সর্বনাশ

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া

মানুষের লোভে খালের সর্বনাশ

ডুমুরিয়ায় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সরকারি খাল ও জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে অনেক স্থানে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

খুলনা কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, জেলার ২৫ শতাংশ খাল ইতিমধ্যে ভরাট হয়ে বেদখলে চলে গেছে।

জানা গেছে, খুলনা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাল ভরাটের ঘটনা ঘটছে শহরসংলগ্ন ডুমুরিয়া উপজেলায়। এ উপজেলার চক আসানখালী, বিলপাবলা, জিলেরডাঙ্গা, ভেলকামারী, উপজেলা সদরের জোয়ারের বালুসহ অনেক স্থানে প্রভাবশালীরা খালের পাশে জমি কিনে তা বালু দিয়ে ভরাট করছে। একই সঙ্গে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খাল ভরাট করা হচ্ছে।

খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে ডুমুরিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কের দুপাশের খাল দখল হয়েছে। যে যার মতো ভরাট করে রাস্তা তৈরির ফলে পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের গোলনা গ্রামের গোলনা খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোলনা মৌজার কোদালকাটা বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ গোলনা খাল। বর্ষা মৌসুমে কোদালকাটা বিল হতে ওই খাল দিয়ে গোলনা নদীতে পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। অভিযোগ উঠেছে খালের পাড়ে বসবাসকারী মো. মোমিন খান নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী সরকারি ওই খালের কিছু অংশ ভরাট করে গত জানুয়ারিতে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁকে নিষেধ করলেও তিনি মাটি ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম খান, মহাসেন খান, মোজাম্মেল হোসেন খান, ইকবাল খান ও ইউসুফ খান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জানতে চাইলে মো. মোমিন খান জানান, তিনি যে জায়গা ভরাট করছেন, তা তাঁর নিজস্ব জমি। কোনো সরকারি খালের জমি নয়। কাউকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ইতিপূর্বে অভিযোগ পেয়ে একজন সার্ভেয়ার পাঠিয়ে মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও যদি বেআইনিভাবে খালের জমি ভরাটের কাজ শুরু করে থাকেন, তা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ভেলকামারী বিলের গুটুদিয়া ব্র্যাক হ্যাচারির পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালটির ওপরে সম্প্রতি এক প্লট ব্যবসায়ী ছোট একটি কালভার্ট তৈরি করছেন। ওই খালটি দোয়ানিয়া খাল থেকে উৎপত্তি; যা ভরাট হয়ে যায়। ভূমিহীন হিসেবে এক ব্যক্তি এটি বরাদ্দ নিয়ে ওই প্লট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, খুলনা জেলায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটারের মতো সরকারি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬০ কিলোমিটার অর্থাৎ ২৫ শতাংশ খাল ভরাট হয়ে বেদখল হয়েছে। এসব খাল উদ্ধারের পর সেটি খনন করে জলাধার সৃষ্টি করলে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সরকারি খাল ও জলাশয় ভরাট করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যাঁরা এ কাজের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, সরকার দুই ধরনের খাসজমি বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে কৃষি ও অকৃষি। কৃষিজমি বরাদ্দ নিয়ে সেটা কেউ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না। এমন ঘটনা কোথাও ঘটলে তদন্তের মাধ্যমে বরাদ্দ বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ