দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ট্রাক দাঁড়ানোর নেই নির্ধারিত জায়গা বা টার্মিনাল। বন্দর এলাকায় অসংখ্য খালি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
সেই সঙ্গে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। তবে কর্তৃপক্ষ জানায়, একটি টার্মিনাল করার জন্য সরকারের কাছে কয়েকটি জায়গা নির্ধারণ করে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে শুরু করা হবে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ।
জানা যায়, একটি মাত্র সড়ক দিয়ে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহন করা হয়। রাস্তাটি সরু হওয়ায় ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশের সময় বেকায়দায় পড়ে।
অনেক সময় জটের কারণে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়া বন্দরে প্রতিদিন ভারত থেকে ১৬০-১৭০টি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে।
পাশাপাশি বন্দর থেকে পণ্য খালাস করার জন্য আরও ৭০০-৮০০ দেশি ট্রাক প্রবেশ করে। এতে বন্দর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয় এবং তা নিরসন করতে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
হিলি স্থলবন্দরের ট্রাকচালক সমিতির সভাপতি হামিদুল ইসলাম জানান, হিলি স্থলবন্দরে একটি ট্রাক টার্মিনাল খুবই জরুরি। এটি হলে বন্দর এলাকায় কোনো যানজট থাকবে না। এ ছাড়া টার্মিনাল না থাকায় চালক ও সহকারীদের খুব কষ্ট করতে হয়। তাঁরা খাওয়া-দাওয়া ও গোসল সময়মতো করতে পারেন না। টার্মিনাল থাকলে তাঁদের বাড়তি এ চাপ থাকত না।
পানামা হিলি পোটের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রতাপ মল্লিক জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দর এলাকায় গাড়ির চাপ কম থাকে। দুপুরের পর শুরু হয় চাপ, একদিকে ভারত থেকে আসা ট্রাক ও অপর দিকে দেশের ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে বন্দর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সব মিলিয়ে দ্রুত একটি ট্রাক টার্মিনালের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
হিলি হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, হিলি একটি দ্বিতীয় বৃহৎ স্থলবন্দর। বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনায় একটি ট্রাক টার্মিনাল প্রয়োজন। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গা নির্ধারণ করে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি অনুমোদন হয়ে আসবে।