চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। ক্রেতারা অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো দামে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে ঠবছেন ক্রেতারা।
দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকেই তরমুজ কিনতে পারছেন না। চলতি মৌসুমে বাজারে তরমুজের পর্যাপ্ত জোগান দেখা গেছে। এ বছর তরমুজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার বাস স্ট্যান্ড, হাসাদহ , উথলীসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সঙ্গে দাম নিয়ে রীতিমতো বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।
সমসের আলী বলেন, রাজমিস্ত্রি কাজ করে দিন শেষে ৪শ ৬০ টাকা পাই। এই রোজগারের টাকায় চাল ডাল, মাছ, শাক সবজি কিনলে আর টাকা থাকে না। একটা তরমুজ কেনা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। দুই কেজি তরমুজ কেটে দিতে বললাম। বলল কেটে বিক্রি নেই। একটি ছোট তরমুজ ওজন ৫ থেকে ৬ কেজি। তার দাম ২০০ হতে ২৪০ টাকা। আমার পক্ষে তরমুজ কেনা সম্ভব নয়। তাই ফিরে যাচ্ছি।
পল্লি চিকিৎসক হুমায়ূন কবির বলেন, এত দিন তরমুজ পিচ হিসেবে কিনলাম। এ বছর তরমুজের দামও অনেক বেশি । হঠাৎ করেই কেজিতে বিক্রি শুরু হয়েছে। তরমুজ কিনতে গেলেই বিক্রেতাদের সঙ্গে গন্ডগোল লেগে যায়।
জীবননগর শহরে তরমুজ বিক্রেতা মো. ইব্রাহিম জানান, এ বছর মোকামে তরমুজের দাম অনেক বেশি। বরিশাল থেকেই প্রতি এক শত তরমুজ কিনতে হচ্ছে ২৮ হাজার টাকায়। এ বছর গাড়ি ভাড়া অনেক বেড়েছে। গত বছর যে ভাড়া ৮ হাজার টাকা ছিল সেই ভাড়া এ বছর ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। একটা বড় সাইজের তরমুজ ৪শত থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে বেচা বিক্রিও কম হচ্ছে।
জীবননগরে তরমুজ বিক্রেতা সামসুল ইসলাম বলেন, ছোট সাইজের তরমুজ প্রতিটি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার কেউ যদি কেজিতে কিনতে চায়, তখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারি বাজার হতে শ হিসেবে কিনে তা কেজিতে বিক্রি করছেন। আমরাও কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রির খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’