নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর আত্রাইয়ে এবারও ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলায় দেশি জাতের পাশাপাশি হাইব্রিড ভুট্টার আবাদ ব্যাপকভাবে করা হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলন এবং অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় ভুট্টার আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার আবাদ ভালো হয়েছে। এখন ভুট্টা কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে পুরোদমে। ভালো দাম পেয়ে সাধারণ কৃষকের চোখেমুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। ভুট্টা চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এ উপজেলায় যে পরিমাণ জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছিল। এবার তার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে মোট ৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। লাভজনক হওয়ায় এবং স্থানীয় মাটিতে ভালো ফলন হওয়ায় দিনদিন ভুট্টার আবাদ বাড়ছে এ অঞ্চলে। তথ্যমতে, মাত্র চার থেকে পাঁচ বছরের ব্যবধানে ভুট্টা চাষ পুরো উপজেলায় এখন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই ঝুঁকছেন ভুট্টা চাষে।
বিপ্রবোয়ালিয়া গ্রামের রেজাউল করিম টিপু বলেন, ‘কৃষকেরা জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহ বর্তমানে মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে ভালো ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি প্রায় ৪০ থেকে ৪২ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে দামও ভালো থাকায় আমরা অনেক খুশি।‘
মহাদিঘী গ্রামের জাহের আলী বলেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি ১৭-২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত প্রায় মোট ৯০ মণের ওপর ভুট্টা তুলেছেন তিনি। রোদে শুকানোর পর প্রতি মণ ভুট্টা ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউছার হোসেন বলেন, আত্রাইয়ে এবার ভুট্টার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এবার উপজেলায় ভুট্টা আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে দেশি ভুট্টার চেয়ে হাইব্রিড জাতের ভুট্টায় রোগবালাইয়ের আশঙ্কা কম। দাম বেশি পাওয়া যায়।
কে এম কাউছার হোসেন আরও বলেন, ফসলের রোগ ও পোকামাকড় দমনে চাষিদের গ্রুপভিত্তিক সচেতন সভা করা হয়েছে। ভুট্টা চাষ চলাকালীন সময়ে কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়েছে।