নওগাঁয় গণটিকার দ্বিতীয় ডোজও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মানুষ নিয়েছেন। জেলায় বিশেষ এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১ লাখ ৫২ হাজার জনকে টিকা দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তবে জেলায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৫৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানা গেছে, ২৮ মার্চ গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার বিশেষ এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এর আগে অর্থাৎ ২৬-২৮ ফেব্রুয়ারি গণটিকায় যারা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, তাঁরা দ্বিতীয় ডোজের এই টিকা পেয়েছেন। বিশেষ এ টিকাদান কার্যক্রম ২ এপ্রিল পর্যন্ত চলে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গণটিকার বিশেষ ক্যাম্পেইনে প্রথম ডোজে লক্ষ্যমাত্রার দেড় গুনের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছিল। দ্বিতীয় ডোজও লক্ষ্যমাত্রার অধিক মানুষ টিকা নিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ ক্যাম্পেইনে শনিবার পর্যন্ত জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়নে ও ৩টি পৌরসভায় মোট ৪১৯টি বুথে এই দ্বিতীয় ডোজের গণটিকা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যেখানে টিকাদান কর্মী ছিলেন ৮৩৮ জন এবং স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন ১ হাজার ২৫৭ জন। বিশেষ এই ক্যাম্পেইনে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৫৯ জন টিকা নিয়েছেন। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার। যদিও প্রথমে ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত গণটিকা দেওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সেটি ২ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জেলার মোট জনসংখ্যা ৩০ লাখ ৭২ হাজার ৫৩৫ জন। বিশেষ ক্যাম্পেইন বা গণটিকা ছাড়াও প্রতিদিনই নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোতেও টিকা দেওয়া হচ্ছে। জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত মোট প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৫ জনকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫২৯ জনকে। জনসংখ্যার হিসাবে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলেয়ে জেলায় ৭০ শতাংশের বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট সুলতান আহম্মেদ এসব তথ্য নিশ্চিত বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নেতৃত্বে বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় মাইকিং করে, অটোরিকশায় ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ঘুরে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য করোনার টিকাদান কার্যক্রম সফল হয়েছে।
নওগাঁ সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা আশীষ কুমার সরকার বলেন, করোনা থেকে মুক্তি পেতে টিকা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি নাগরিকেরা সেটি বুঝতে পেরেছেন। এ জন্য টিকা নিতে মানুষের আগ্রহও অনেক বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।