মুহাম্মাদ ইমরান মুস্তফা
পুণ্যময় মাহে রমজান গুনাহমুক্ত জীবনগঠনের মাস; মাগফিরাত লাভের মাস। জীবনের বাঁকে বাঁকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় পাপ-পঙ্কিলতার বহু কালো দাগ পড়ে যায়। মহান আল্লাহ গফুর ও গাফ্ফার; ক্ষমাপরয়াণ ও পাপমোচনকারী। খাঁটি মনে ক্ষমা চাইলে তিনি অবশ্যই আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন। এমনকি বিশেষ বিশেষ সময়ে তিনি বান্দার জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের দরজা অবারিত করে দেন। রমজান মাগফিরাত লাভের তেমনই এক সুবর্ণ সময়। এ মাসে রোজা পালনের বিনিময়ে অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি)
ইসলামি চিন্তাবিদেরা বলেন, নামাজ-রোজা প্রভৃতি আমলের কারণে সগিরা গুনাহই মাফ হয়। কবিরা গুনাহের জন্য তওবা করতে হয়। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমার পর আরেক জুমা এবং এক রমজানের পর আরেক রমজান তার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গণ্য হবে; যদি কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়।’ (মুসলিম) তাই পুণ্যময় রমজানে রোজা, নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি অধিক পরিমাণে তওবা ও ইস্তিগফারের আমল করতে হবে। মহানবী (সা.) নিজে নিষ্পাপ হয়েও উম্মতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য অধিক পরিমাণে তওবা ও ইস্তিগফার করতেন। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহর শপথ! নিশ্চয়ই আমি প্রতিদিন সত্তরবারের বেশি আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করি ও তাওবা করি।’ (বুখারি) তাই পাপ-পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত গুনাহগার উম্মত হয়ে আমাদের তাঁর চেয়ে আরও অনেক বেশি পরিমাণে তওবা ও ইস্তিগফার করতে হবে।
মুহাম্মাদ ইমরান মুস্তফা, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক