টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ১৪ মাস ৮ দিন হাজতবাসের পর মুক্তি পেলেন সাবেক এই মেয়র।
টাঙ্গাইল জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম জানান, ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল বৃহস্পতিবার। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রাণী দাসের সাক্ষ্যগ্রহণ ছিল। কিন্তু সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসামির জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এ সময় মুক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলার পরবর্তী তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আদালতের দেওয়া আদেশ অনুযায়ী গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগার থেকে ছাড়া পান মুক্তি।
মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তাঁর বাবা আতাউর রহমান খান একই আসনের বর্তমান সাংসদ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত মুক্তি ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।