তজুমদ্দিনে সড়কে নির্মাণসামগ্রী রেখে কাজ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলাবাসী। যানজট-দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র পাথর-বালু ফেলে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, সড়কে বালু, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী রাখা বেআইনি। কিন্তু এরপরও সড়কে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে।
তজুমদ্দিনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যবহৃত পাথর ও বালু সড়কের ওপর ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। উপজেলার সদর রোডে ২০০ মিটার কাজের সংস্কারের কাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিনুল হক। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাস্তায় এসব নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রেখেছে। এ ব্যাপারে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা বারবার প্রতিকার চেয়েও কোনো সুফল পায়নি।
জানা যায়, প্রায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কার কাজের এসব মালামাল প্রায় এক মাস ধরে শহরের প্রধান সড়কের ওপর পড়ে আছে। চাঁদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক, চাঁদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং থানার সামনের সড়কে এসব সামগ্রী দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পথচারী ও যানবাহন চালকেরা নানা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।
চাঁদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন জানান, কোনো অনুমতি ছাড়াই ঠিকাদারের লোকজন এসব মালামাল স্কুলের সামনে রাখছে। প্রতিষ্ঠানটি এবার এইচএসসি পরীক্ষার ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন রাস্তায় এভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। প্রায়ই এখানে ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
ব্যবসায়ী মো. আরিফ বলেন, ‘রাস্তা সংস্কারের নামে ভোগান্তি হচ্ছে বেশি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এসব মালামাল নিকটবর্তী খোলা জায়গায় রাখা যেত। প্রতিদিন এখানের বালি ও ময়লা বাতাস উড়ে পরিবেশ দূষণসহ ব্যবসায়ী ও পথচারীদের নাভিশ্বাস উঠেছে।’
রিকশাচালক জহির বলেন, ‘রাস্তায় পাথর ও বালু রাখায় যানজট সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার কারণে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যান।’
এ ব্যাপারে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের তদারকির কাজে নিয়োজিত এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও আতিকুর রহমান বলেন, ‘সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সুযোগ নেই। তবে দুটি প্যাকেজে কাজ চলমান থাকায় এই সামগ্রীগুলো কে বা কারা রেখেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’