পাইকগাছায় ছাত্রলীগের পর এবার যুবলীগ প্রকাশ্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ পৃথক বর্ধিত সভা এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে।
ভেঙে দেওয়া উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কমিটির নেতারা গত ৫ ডিসেম্বর পাইকগাছার দলীয় কার্যালয়ে একটা বর্ধিত সভা করে। এতে সাবেক যুবলীগ নেতাদের দাওয়াত না দেওয়ায় ৬ ডিসেম্বর তৃণমূলের ত্যাগী যুবলীগ নেতারা অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা সম্মেলন সফল করার জন্য আলাদা একটা মতবিনিময় সভা করে। বর্ধিত সভার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সেই বিলুপ্ত কমিটির নেতারা মিটিং করতে দেখা যায় বলে সাবেক সভাপতি সামছুর রহমান জানান।
তিনি আরও বলেন, ভেঙে দেওয়া উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করায় ও ওই কমিটিতে জামায়াত-বিএনপির লোক থাকায় ৫০ জন নেতা-কর্মীর স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি সম্পাদক বরাবর পরপর তিনটি অভিযোগ জমা দিয়েছে উপজেলা যুবলীগের সাবেক নেতারা।
গত ৩১ ডিসেম্বর সাবেক যুবলীগের নেতৃত্বে উপজেলা দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়া আহ্বায়ক কমিটির কোন বৈধতা নেই উল্লেখ করে পৃথকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করেছে। পাইকগাছা উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শেখ আনিসুর রহমান মুক্ত জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে পাইকগাছা উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বিলুপ্ত করার পর আমরা কোন কার্যক্রম করিনি। গত ২৯ নভেম্বর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিক নির্দেশে আমরা উপজেলায় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করেছি। তিনি আরও বলেন আমি যুবলীগ করব না। আমি আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির একটি পদে রয়েছি। জেলা যুবলীগ যে নির্দেশ দেবেন আহ্বায়ক হিসাবে সেটি আমি পালন করব। আমরা ৫ ডিসেম্বর যুবলীগকে সমন্বিত করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি।