মার্চের প্রথম দিন ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব ফিল্ম ‘ফ্রাইডে’। সিনেমাটি নিয়ে বলুন?
এটা একটি পরিবারের গল্প। আমাদের পরিচিত এক গল্প। দেখলেই দর্শক রিলেট করতে পারবেন। এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশে এখনো কাউকে এমন কনটেন্ট বানাতে দেখিনি। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে যাঁরা এমন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, তাঁদের জন্য ফ্রাইডে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। নির্মাতা রাফী যেভাবে গল্পটা তুলে ধরেছেন সেটা অবিশ্বাস্য। বিঞ্জকে ধন্যবাদ এমন সাহসী একটা নির্মাণে পাশে থাকার জন্য।
এতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আমি যে ঘরানার কাজ করি এটা তার থেকে একেবারেই ভিন্ন। একদম চিন্তার বাইরের একটা চরিত্র। অভিনয়ের অভিজ্ঞতা একেবারেই ভালো ছিল না। আমার জীবনের এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বলতে পারেন। শুটিং শেষ হওয়ার পরেও অনেক দিন ট্রমাটাইজড ছিলাম। ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হলেও আমি লাকি এমন চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি।
সিনেমাটি পরিবারের সঙ্গে দেখতে নিষেধ করছেন আপনারা। কেন?
এটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা। এতটা ডার্ক অ্যান্ড বোল্ড নির্মাণ আগে হয়নি। এ কারণে আমরা প্রচারের শুরু থেকেই বলে আসছি, যাঁদের হার্ট দুর্বল, ১৮ বছরের নিচে কিংবা যাঁদের বয়স হয়েছে বা বৃদ্ধ তাঁদের জন্য এই কনটেন্ট না। আমরা চাই না কেউ পরিবার নিয়ে এটা দেখুক, সবাই একসঙ্গে না বসে আলাদা দেখাই ভালো।
এ রকম কনটেন্ট নির্মাণের উদ্দেশ্য কী?
গল্পটি সবাইকে দেখানোর একটাই কারণ, যেন এমন ঘটনা পৃথিবীর কোথাও আর না ঘটে। এটা একটা সতর্কবার্তা। একই সঙ্গে এমন ঘটনা কেন হয়, হলে কী হয়—সেটাই এই সিনেমায় দেখতে পাবেন দর্শকেরা। সেই অর্থে এটাকে একধরনের সচেতনতামুলক সিনেমাও বলতে পারেন।
একসঙ্গে দেখতে না বলা কি প্রচারণার অংশ?
এটাই আমার প্রথম কনটেন্ট, যেটা সবার সঙ্গে দেখতে নিষেধ করছি। তবে এটা অস্বীকার করব না যে নিষেধ করার বিষয়টি দর্শকের আগ্রহ সৃষ্টি করছে। যখন কোনো বিষয়ে নিষেধ করা হয়, তখন সে কাজটি মানুষ বেশি করে। আমার বক্তব্য হলো, আগ্রহ তৈরি হওয়া ভালো। তবে যিনি দেখবেন, তিনি যেন নিজের মতো করে, নিজে রিস্ক নিয়ে সিনেমাটি দেখেন।
কেমন সাফল্য প্রত্যাশা করছেন?
একেবারেই নতুন বিষয়ের ওপর নির্মাণ হয়েছে সিনেমাটি। তাই একটু ভয় কাজ করছে, মানুষ এ ধরনের কাজ পছন্দ করবেন কি না। আমি জানি না আমার চরিত্রটি দর্শক কীভাবে নেবেন, সে বিষয়ে একটু চিন্তায় আছি।
আগামী মাসেই আপনার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ রিলিজ হবে। সে বিষয়ে জানতে চাই।
‘ফ্রাইডে’ থেকে ‘বুকের মধ্যে আগুন’ একেবারেই ভিন্ন একটি গল্প। এখানে যে চরিত্র, সেটি যে আগে করিনি তা নয়। তবে একটু ডিফারেন্ট ক্যারেক্টার। আগামী
মার্চে মুক্তির ঘোষণা হলেও এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি। তাই এটি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে
চাচ্ছি না।
‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে অনেক দিন পর বড় পর্দায় নাম লেখালেন।
সর্বশেষ শাহনেওয়াজ কাকলীর ‘ফ্রম বাংলাদেশ’ সিনেমায় কাজ করেছিলাম। কোভিডের পর আর কোনো সিনেমায় কাজ করা হয়নি। ওটিটিতে কাজ করছিলাম। চিন্তা করছিলাম ভালো গল্প, নির্মাতা পেলেই সিনেমায় কাজ করব। নয়তো নয়। সবকিছুতে ব্যাটে-বলে মিলে গেল তাই ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। আর চরকি ও আলফা আইয়ের সঙ্গে আমার পরিবারের মতো সম্পর্ক। এই দুটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মিলে যখন সিনেমা বানায় এবং সেখানে রায়হান রাফী থাকে, আফরান নিশো থাকে, সে কাজটি করতে পারা আমার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।