অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কিশোরগঞ্জের হাওরের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। এবার পানি দ্রুত নেমে গেছে। এতে খুশি বোরো চাষিরা। তারা এখন দল বেঁধে বোরার আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর জেলার হাওরাঞ্চলে ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এমনটি মনে করেছেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।
গত বছর এক লাখ এক হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর এক হাজার ৫০০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করেই চলছে বীজতলা থেকে চারা তোলার কাজ। কেউ কেউ ব্যস্ত জমি তৈরি ও চারা রোপণ নিয়ে। চাষাবাদে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে। হাওরে ইতিমধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে।
জেলার হাওরাঞ্চলের মিঠামইন উপজেলার কৃষক তমিজ উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে কীটনাশক ও ডিজেলের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।
তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘যে ডিজেল ৬৫ টাকা লিটার ছিল, তা এখন ৮৫ টাকায় কিনতে হয়। ফসল ওঠার পর ধানের দাম যদি বেশি না পাই তাহলে লোকসান হবে।’
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় আগ্রহ নিয়ে বাড়তি জমিতে বোরো আবাদ করছেন কৃষকেরা। এ বাড়তি জমি হাওরেরই অংশ। গত বছর ধানের দাম কম থাকায় ওই জমিতে আবাদ করেননি কৃষকেরা।