অর্থ পাচারের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা ও তিন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কড়া ব্যবস্থা নিতে হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ‘যতক্ষণ না আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে, ততক্ষণ পার্থ নির্দোষ’। তবে শেষমেশ সব পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের পাশাপাশি মন্ত্রিত্ব থেকে সরতে হলো পার্থকে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১১ বছরের শাসনামলে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে কোনো মন্ত্রীর গ্রেপ্তার হওয়া এটিই প্রথম। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পার্থ গ্রেপ্তার কিংবা পদ হারানোই যথেষ্ট নয়, তৃণমূলের দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে।
বামপন্থী দল সিপিআইয়ের (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও সাবেক এমপি সুজন চক্রবর্তী দি ওয়্য়ারকে বলেন, ‘আরেকবার প্রমাণিত হলো, তৃণমূলের আগাগোড়া দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর শাসনামলে স্কুলগুলোতে ৮০ শতাংশ নিয়োগ অবৈধভাবে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না এটা অবিশ্বাস্য।’
বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘অন্য় বড় নেতাদের বাঁচাতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে বলির পাঁঠা বানাচ্ছে। কে বিশ্বাস করবে যে পার্থ একাই দুর্নীতিতে জড়িত?’
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতির কারণেই অনেক জায়গায় হেরেছিল মমতার দল।