রাজবাড়ী প্রতিনিধি
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কম দেওয়ার অভিযোগে রাজবাড়ী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজবাড়ী বাজারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি পৌর শহরের ধুঞ্চি এলাকার বাসিন্দা। গত বুধবার রাজবাড়ীর ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, একই কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী আলমগীর হোসেন ও শ্রমিক সরদার শামসুর রহমান।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ার হোসেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একজন ডিলার। খাদ্যগুদাম থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল সংগ্রহ করে ১০ টাকা কেজি দরে হতদরিদ্র মানুষের কাছে বিক্রি করেন। চাল সংগ্রহ করার জন্য লাইসেন্সের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ট্রেজারি চালান নিয়ে খাদ্য অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হয়। এরপর গুদাম থেকে চাল সরবরাহ করা হয়।
কিন্তু চালানে উল্লেখিত পরিমাণ চালের সঙ্গে বিতরণ করা চালের পরিমাপ কখনই সঠিক পাওয়া যায় না। চাল সংগ্রহকারী মানুষকে চাহিদামতো চাল দেওয়ার জন্য বাজার থেকে বেশি দামে চাল কিনে সরবরাহ করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
ডিলার মনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৬ সাল থেকে তিনি ডিলার। শুরু থেকেই মণপ্রতি ১০ কেজি করে কম পেয়ে আসছেন। প্রথমে তাঁর কর্মচারী এর সঙ্গে জড়িত ভেবেছেন। ২০২১ সালের তিনটি ডিওতে ওজনে কারচুপির বিষয়টি ধরতে পারেন এবং নিশ্চিত হন, খাদ্যগুদাম থেকেই তাঁকে চাল কম দেওয়া হয়েছে। এর প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। চাল সরবরাহের সময় মেপে নিয়ে আসেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্কেলে ষড়যন্ত্র এবং ডিও অগ্রিম স্বাক্ষর করে রাখা হয়। সেটা পরে আর ফেরত দেওয়া হয় না।
আসামি রাজবাড়ী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, তিনি ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে রাজবাড়ীতে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে একবার মনোয়ার হোসেন চাল নিয়েছেন। মনোয়ার হোসেনকে চাল কম দেওয়া হয়নি। সঠিক ওজন করেই তাঁকে চাল দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী স্বপন কুমার সোম বলেন, রাজবাড়ী ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।