খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে কর্তাসহ পাঁচজনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁরা মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৌংড়াছড়ি রোয়াজাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, পরিবারের কর্তার স্ত্রী আরেমা মারমা অর্থাৎ প্রতিবন্ধী চার সন্তানের মায়ের রোজগারে চলে সংসার। তাঁরা প্রতিবন্ধী ভাতা পান। তবে তা দিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না।
প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্যরা হলেন—পরিবারের প্রধান কর্তা নিপ্রুচাই মারমা (৪১), উচিমং মারমা (১৮), থুইচানু মারমা (১৫), থুইসাচিং মারমা (১২), সুইসাচিং মারমা (৯)।
চৌংড়াছড়ি রোয়াজাপাড়া গ্রামে গিয়ে প্রতিবন্ধী পরিবারের প্রধান কর্তা নিপ্রুচাই মারমার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, স্ত্রী ব্যতীত তিনিসহ তাঁর ছেলেরা প্রতিবন্ধী। সন্তানেরা জন্মের পর সুস্থ ছিল। তবে জন্মের ৮-৯ বছর পর থেকে আস্তে আস্তে হাত-পা চিকন হয়ে যাওয়া শুরু হয়। তাঁর নিজেরও কয়েক বছর আগে এ অবস্থা শুরু হয়েছে।
নিপ্রুচাই মারমা জানান, স্ত্রী দিনমজুরির কাজ করে প্রতিদিন ২০০-২৫০ টাকা পায়। এ টাকা দিয়ে পরিবার চালানো কঠিন। এ ছাড়া নিজের ও সন্তানদের চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। দিনমজুরির কাজ করে যা পায়, তা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফোরানোর অবস্থা। দু-তিন মাস পর প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তা দিয়ে সংসারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না।
নিপ্রুচাই মারমার স্ত্রী আরেমা মারমা বলেন, ‘স্বামী ও সন্তানদের ভরণপোষণ করতে নিয়মিত দিনমজুরির কাজ করতে হয়। তবে ঠিকমতো কাজ পাওয়া যায় না। যে কারণে অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে খুবই কষ্টে দিন পার করছি। বাড়িটাও ভেঙে গেছে।’
এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. নুনু মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ রোগ সাধারণত অপুষ্টির কারণে হয়। এ ধরনের রোগকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নায়ুজনিত রোগ বলা হয়। এ রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করালে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।