বরগুনার তালতলীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে জানলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার নন তিনি। অন্য ওয়ার্ডে তাঁর ভোট। হতভম্ব হয়ে এই ঘটনার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তালতলী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে যান তিনি। এ সময় জানতে পারেন তিনি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার নন।
ভোটারহীন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামের আ. লতিফের ছেলে আনোয়ার, যার ভোটার নম্বর ১৬৯। তিনি জন্মসূত্রে ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার।
অভিযোগে জানা গেছে, তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকে কেন্দ্র করে প্রায় এক বছর আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মাঠে গণসংযোগ শুরু করেন সম্ভাব্য প্রার্থী আনোয়ার। উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান আনোয়ার। সেখানে মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটারই নন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক বছর ধরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই কে বা কারা আমার ভোট স্থানান্তর করে দেয়। যার কারণে প্রস্তুতি নিয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেছি না।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মাস্টার বলেন, আমার জানামতে আনোয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ভোটার। কীভাবে তাঁর ভোট অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে, সেটা আমার জানা নেই।
তালতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মস্তফা কামাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্যদের প্রত্যয়ন ছাড়া ভোটার স্থানান্তর হয় না। কীভাবে ভোট হস্তান্তর হয়েছে, খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।