সোমালি জলদস্যুদের হাতে এমভি আবদুল্লাহর জিম্মিদশার ১৬ দিন পার হয়েছে। জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারে বিশ্বাসযোগ্য কোনো বার্তা আসছে না। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিমাকারী প্রতিষ্ঠান প্রোটেশন অ্যান্ড ইনডেমনিটি (পিঅ্যান্ডআই) এবং ক্রাইসিস টোয়েন্টিফোর জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছে।
ক্রাইসিস টোয়েন্টিফোর জাহাজের নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। মিজানুল জানান, এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি হওয়ার পর এ গ্রুপের কয়েকজন মালিকপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশে এসে দেখা করে তাঁদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করেছেন।
মিজানুল বলেন, ‘জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আমাদের সঙ্গে অনেকের আলোচনা হচ্ছে। ঠিক কার সঙ্গে কোথায়, আলোচনা হয়েছে বা হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করে এ মুহূর্তে বলা ঠিক হবে না। তবে আন্তর্জাতিক পরিসরে অনেকের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম জানান, ‘২০ মার্চ জলদস্যুদের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হওয়ার পর তাঁদের সঙ্গে আর কোনো আলাপ হয়নি। তবে নাবিকেরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন, তা আমরা সংশ্লিষ্ট নাবিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি। তাঁরা সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।’
এদিকে সোমালি পান্টল্যান্ড পুলিশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ভারতীয় নৌবাহিনীর কড়া নজরদারিতে বেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জলদস্যুরা। কারণ, উল্লিখিত বাহিনীগুলো কমান্ডো হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজসহ আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে নজরে রেখেছে।
উল্লেখ্য, ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ১২ মার্চ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। সেই থেকে জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন জাহাজের ২৩ নাবিক।