মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় আমনের ভরা মৌসুমে সারের সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারের খুচরা দোকান ও ডিলারদের কাছে কৃষকদের চাহিদা মতো মিলছে না সার। ফলে জমিতে সার দিতে না পারায় আমন ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষক। তারা জানান, অতিরিক্ত দাম দিয়েও সার কিনতে রাজি কিন্তু বাড়তি দাম দিয়েও সার মিলছে না। তবে উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেন এক কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ১৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতিমধ্যে ১২ হাজার ৪৬১ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার গবিন্দবাটী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ডিলারের কাছে সারের জন্য এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এ সময় গবিন্দবাটী বাজারের সার ডিলার রতন দাশ বলেন, ‘উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এ মাসে ১৬৬ টন সার বরাদ্দ থাকলেও শুধু আমাকে ২৫ টন দেওয়া হয়েছে, যা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে সাব ডিলার ও কৃষকেরা নিয়ে গেছেন। বর্তমানে কৃষকেরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। সার না থাকায় দিতে পারছি না।’
কামারচাক ইউনিয়নের সারের সাব ডিলার কুহিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে সারের ডিলার নেই। আমরা পার্শ্ববর্তী টেংরা ইউনিয়নের সারের ডিলার কাছ থেকে সার এনে বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমানে ডিলার কাছে সার মিলছে না।’
কামারচাক গ্রামের কৃষক হাসনা মিয়া বলেন, ‘আমন মৌসুমে ১২ বিঘা জমিতে আমি ধান রোপণ করেছি। জমিতে ওষুধ দেওয়ার জন্য ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হলে খোলাবাজারে সার পাচ্ছি না আমাদের ইউনিয়নে সারের ডিলার না থাকায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ডিলারের কাছে গিয়েও সার পাচ্ছি না।’
করাইয়া গ্রামের কৃষক জমিন আহমদ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শ্রমিক ঠিক করে রেখেছি। জমিতে সার দেব বলে। স্থানীয় বাজারে ও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও সার পাইনি, এতে বিপাকে পড়েছি।’
রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি এখনো সার সংকটের অভিযোগ পাইনি, উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই দাবি করে তিনি বলেন কামারচাক ইউনিয়নে সারের ডিলার নেই। ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে।’