ফুলতলায় ধানখেত থেকে মুসলিমা খাতুন (২০) নামে এক তরুণীর মস্তকহীন লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। গতকাল সকালে উত্তরডিহি গ্রামের উত্তর মাঠের ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আইয়ান জুট মিলের শ্রমিক এবং দামোদর গ্রামের ভ্যান চালক মো. এমদাদুল হকের কন্যা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল ভোরে গ্রামের কৃষক রেজা সরদার পানি দেওয়ার জন্য উত্তর মাঠে গিয়ে রবিউল মল্লিকের ধান খেতে বস্ত্র ও মস্তকহীন লাশ দেখতে পান। পরবর্তীতে থানা-পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এদিকে নিহত মুসলিমার মেজ বোন আকলিমা খাতুন (২৩) জানান, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে মোবাইলের কল পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি।
মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে উত্তরডিহির ধান খেতে অজ্ঞাত লাশের খবর পেয়ে প্রতিবেশী সালেহা বেগম (৪৫) কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি বোনের লাশ শনাক্ত করেন। তাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, দুই বছর আগে যশোরের প্রেমবাগ এলাকায় জনৈক সাগরের সঙ্গে মুসলিমার বিবাহ হলেও পরে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন থেকে তিনি আইয়ান জুট মিলের শ্রমিকের কাজ নেন। সম্প্রতি নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও আইয়ান জুট মিলের শ্রমিক রিয়াজের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে ঘটনার রাতে কার ফোন পেয়ে তিনি বাসা থেকে বের হন তা জানা যায়নি। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফুলতলা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদার, ওসি (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে পাঠায়।
ওসি ইলিয়াস তালুকদার বলেন, প্রেমঘটিত কোনো ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। নিহত মুসলিমার খণ্ডিত মস্তক ও পরিধেয় বস্ত্র উদ্ধার হয়নি। ঘটনাস্থলে তাকে হত্যা না অন্য কোথাও তাকে হত্যা করে লাশ ওই স্থানে ফেলে রাখে সেটি নিশ্চিত নয়।