নেত্রকোনা-কেন্দুয়া সড়ক এক দশক ধরে বেহাল। দীর্ঘদিনের এ অবস্থায় মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। কয়েক বছর ধরে সংস্কার চললেও নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি। ঝুঁকি নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে চলছে যাত্রীসহ বিভিন্ন পরিবহন। দূরপাল্লার নাইট কোচসহ বেশির ভাগ পরিবহন চলাচল করে মদন আটপাড়া হয়ে অন্য সড়ক ঘুরে। সুস্থ যেকোনো মানুষ এ সড়কে এক দিন চলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে ক্ষেত্রে অসুস্থ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সীমাহীন।
সড়ক ও জনপথ সূত্র জানিয়েছে, ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। তাদের তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া অতিবৃষ্টিপ্রবণ এলাকা হওয়ায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও শিগগির কাজ শুরু হবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেত্রকোনা-কেন্দুয়া ২৭ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। পাঁচ-ছয় বছর ধরে চলছে টেন্ডার প্রক্রিয়াই। পরে টেন্ডার হয়, কিন্তু ঠিকাদার কাজ করে না। এমন করে তিন বছর সময় পার করেছে সড়ক বিভাগ। অবশেষে গত বছরের এপ্রিলে ঠিকাদার নিয়োগ হয়ে কার্যাদেশ হলেও কচ্ছপের গতিতেই চলছে কাজ। এতে জনগণের ভোগান্তি কমছে না।
নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা-কেন্দুয়া সড়কের ২৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার কাজে ৩৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজের মাধ্যমে তিনজন ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৮২ কোটি টাকায়। ওই তিন প্যাকেজের মধ্যে ১ নম্বর প্যাকেজে এসএম বিল্ডার্স ও তানভীর কনস্ট্রাকশন, ২ নম্বর প্যাকেজে মইন উদ্দিন বাশী ও ভাউয়াল কনস্ট্রাকশন এবং ৩ নম্বর প্যাকেজে কাজ করবে।
জানা গেছে, গত এক বছরে মদনপুর বাজার এবং কেন্দুয়ার মাত্র কয়েক শ মিটার কাজ করতে দেখা গেছে। কেন্দুয়ার অংশে মাত্র এক কিলোমিটারের মতো রোলার দিয়ে কেবল সমান করা হয়েছে। পুরোটাই পড়ে আছে বেহাল। সড়কে পথচারী, চালক, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষের অভিযোগ বিস্তর।
মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফারাস দিলীপ বলেন, ‘অবহেলার মধ্যে চলছে এই সড়কের কাজ। কিছু জায়গায় কাজ শুরু করে ফেলে রাখে, এতে আরও বিপর্যস্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়। সড়কের পিচ-সুরকি তুলে রোলার দিলেও গর্তগুলো হতো না। বৃষ্টি হলে গর্তগুলো ডোবার আকার ধারণ করে। গশিক্ষার্থীসহ রোগীদের ভোগান্তি এখন চরমে।
নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাজীব কুমার দাস বলেন, ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। তাদের তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া অতিবৃষ্টিপ্রবণ এলাকা হওয়ায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও যত দূর পারছি, চাপ দিচ্ছি দ্রুত কাজ করার জন্য।