ব্রাজিলের সঙ্গে সব খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে একটি কাঠামো চুক্তি করবে বাংলাদেশ।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দুই দিনের সফরে আগামী ৭ এপ্রিল ঢাকা এলে চুক্তিটি সই হবে।
ঢাকায় ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াজ ফেরেস গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ও কাঠামো চুক্তিটি সই হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রদূত জানান, মাউরো ভিয়েরার সফরসূচি ও কাঠামো চুক্তির বাইরে আরও কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে উভয় পক্ষ কাজ করছে।কূটনীতিকেরা জানান, সফরের প্রথম দিন ৭ এপ্রিল মন্ত্রী পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন মাউরো ভিয়েরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
ব্রাজিলের মন্ত্রী ৮ এপ্রিল কয়েকটি শিল্পকারখানা পরিদর্শন করতে পারেন। সেদিনই তাঁর ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের এক কূটনীতিক জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা ব্রাজিলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি; যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সফরে আসছেন। তাঁর সফরের সময় কাঠামো চুক্তিটি সই হলে তা কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, বেসামরিক বিমান চলাচল, প্রযুক্তি হস্তান্তর, ক্রীড়া, সামরিক সহযোগিতা, বাণিজ্যসহ প্রায় সব খাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে ভিত্তি হিসেবে গণ্য হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের তথ্য বলছে, ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে তুলা, চিনি, ক্ষুদ্রাস্ত্রসহ প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়। তুলা রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্রাজিল বাংলাদেশে শুল্ক ছাড় পেয়ে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে ২৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়; যার বেশির ভাগই তৈরি পোশাক। পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্রাজিল প্রায় ৩০ শতাংশ শুল্ক আদায় করে থাকে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরার সফরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক ছাড় চাইবে। আর চাইবে ওষুধসহ কিছু অপ্রচলিত পণ্য ব্রাজিলে রপ্তানির সুযোগ।