কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় পয়ার উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে তাঁর ছেলে আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রোববার ছুরিকাঘাত করা হলে সোমবার দুপুরে হাসপাতালে পয়ার মারা যান।
এ সময় রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জলিলের ‘স্বীকারোক্তির’ ভিত্তিতে হামলায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রোববার পারিবারিক কলহের জেরে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পয়ার উদ্দিনকে (৫৫) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন ছেলে আব্দুল জলিল (২৬)। এ সময় জলিলের মা জুলেখা খাতুন এগিয়ে গিয়ে পয়ারকে বাঁচাতে চাইলে তাঁকেও আঘাত করা হয়। পরে পয়ার উদ্দিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, নিহত পয়ারের স্ত্রী জুলেখা বেগম বাদী হয়ে ছেলে জলিলের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় রোববার রাতে এজাহার দায়ের করলে সোমবার মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের খিতাবখা কামারপাড়া গ্রাম থেকে জলিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও রাজারহাট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অনীল কুমার রায় বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জলিল তাঁর বাবার ওপর হামলার কথা ‘স্বীকার’ করেছেন। তার ‘স্বীকারোক্তি’ অনুযায়ী হামলায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে নেওয়া হয়।’
ওসি রাজু সরকার বলেন, ‘রোববার রাতেই নিহতের স্ত্রী জুলেখা খাতুন বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় এজাহার করলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার পর জলিল পলাতক থাকলেও তাকে দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তারে সামর্থ্য হয় পুলিশ।’