মাওলানা ইমরান হোসাইন
হিজরি সনে নতুন চাঁদ উদয়ের মাধ্যমে নতুন মাস শুরু হয়। তাই এ হিসাবকে বলা হয় চান্দ্রবর্ষ। ইসলামি জীবনে অনেক আমলই চান্দ্রবর্ষের ওপর নির্ভর করে। চাঁদের উদয় ও অস্ত যাওয়া সময় নির্ধারণে সহায়ক। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘লোকজন আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি তাদের বলে দিন, এটি মানুষের (বিভিন্ন কাজকর্ম ও ইবাদতের) এবং (বিশেষত) হজের সময় নির্ধারণ করার জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৮৯)
পবিত্র রমজানের রোজাও নতুন চাঁদ দেখে শুরু করতে হয়। রাসুল (সা.) রমজানের চাঁদ সম্পর্কে এরশাদ করেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখা আরম্ভ করো এবং চাঁদ দেখে ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করো।’ (বুখারি: ১৯০৯)
মহানবী (সা.) রমজানের নতুন চাঁদকে স্বাগত জানাতে উদ্গ্রীব হয়ে থাকতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের হিসাব অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক গুরুত্বসহকারে রাখতেন। অবশেষে রমজানের চাঁদ দেখে রোজা শুরু করতেন। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাসের হিসাব ৩০ দিন পূর্ণ করতেন। এরপর রোজা আরম্ভ করতেন।’ (আবু দাউদ ২৩২৫)
সুতরাং রমজানের চাঁদ দেখা একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা রমজানের (রোজা শুরু করার) জন্য শাবানের চাঁদের হিসাব রাখো।’ (তিরমিজি ৬৮৭)
চাঁদ দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। তলহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) নতুন চাঁদ দেখলে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিলয়ুমনি ওয়াল-ইমান, ওয়াস-সালামাতি ওয়াল-ইসলাম রাব্বি ওয়া-রাব্বুকাল্লাহ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি চাঁদটি আমাদের জন্য বরকত ও ইমানের সঙ্গে এবং শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রভু আল্লাহ।’ (তিরমিজি: ৩৪৫১, মুসনাদে আহমদ: ১৩৯৭)
মাওলানা ইমরান হোসাইন, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক