Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সড়কে বালুর ব্যবসা

পাইকগাছা প্রতিনিধি

সড়কে বালুর ব্যবসা

পাইকগাছা পৌরসভার বাজার থেকে শিববাটি সেতু পর্যন্ত প্রধান সড়কের পাশে বালু রেখে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ফলে রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।

প্রশাসন কয়েকবার সতর্ক করলেও সে নির্দেশ না মেনে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এ অবস্থায় এলাকাবাসী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, পৌর সদরের বাজার হয়ে থানা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সামনে দিয়ে শিববাটি ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে নিকাম, তুহিন ও ময়নুল নামে তিন বালি ব্যবসায়ী বালু রেখে ব্যবসা করছেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পাইকগাছা সদরে আসা-যাওয়ার সময় বাতাসে বালু উড়ে এসে যাত্রীদের চোখে মুখে ঢুকছে। আবার মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হচ্ছেন অনেকে।

লস্কর ইউনিয়নের রফিকুল নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে পৌর সদরে যাওয়ার সময় বালুতে মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে গিয়ে আহত হয়েছি। মোটরসাইকেলটাও ভেঙে গেছে।’

কথা হয় এক ভ্যানচালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি এই রাস্তায় অনেকদিন ধরে ভ্যান চালাই। রাস্তায় বালি রাখায় ভ্যানের যাত্রীদের অনেক অসুবিধা হয়। বালু উড়ে তাঁদের চোখমুখে পড়ে। আমারও একই সমস্যা হয়। না জানি কবে বড় কোনো দুর্ঘটনার শিকার হই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন বালু উড়ে আসে তখন চোখমুখ ঢেকে বসতে হয়। দমকা বাতাসে বালু উড়ে মাথা বা গায়ে পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তখন বাড়ি গিয়ে আবার গোসল করতে হয়। ফলে অনেকেই এখন এ রাস্তা চলাচল করা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁরা বিকল্প পথে চলাচল করছেন।’

এ বিষয় অভিযুক্ত বালি ব্যবসায়ী ময়নুল বলেন, ‘প্রশাসন থেকে নির্দেশ আসার পর বালু রাস্তা থেকে সরিয়ে নিচে নিয়েছি। মানুষের অসুবিধা হবে এমন ব্যবসা করব না। দরকার হলে আরও সরিয়ে নিয়ে যাব।’

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিল এস, এম ইমদাদুল হক বলেন, ‘এ নিয়ে কয়েকবার তাঁদের বালু সরাতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা বালু সরিয়ে নেওয়ার কথা মুখে বলে বাস্তবে আর সরিয়ে নেয় না।’

পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রাস্তার পাশে বালি রেখে ব্যবসা করা যাবে না। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে তাঁদের সরিয়ে দিয়ে ছিলাম। পরে যদি আবার তাঁরা রাস্তার ওপর বালি রেখে ব্যবসা করে সেটি অন্যায়। জনগণের অসুবিধা হয় তেমন কাজ করতে দেওয়া হবে না।’

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে। আমি খুব শিগগিরই সেখানে যাব। যদি বালি রাখার কারণে জনগণের ভোগান্তি হয়। তাহলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ