দেবিদ্বার প্রতিনিধি
অভিযুক্ত বাবা আমির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে শিশু ফাহিমা হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুল হাসান। গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে দেবিদ্বারের মাছুয়াবাদ ডোন এলাকার গোমতী চরে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বাবা আমির হোসেন ফাহিমাকে নির্যাতন করে হত্যার বর্ণনা দেন।
আমির হোসেন ঘটনাস্থলটি দেখিয়ে পুলিশকে জানায়, তিনিই ওই স্থানে প্রথমে ফাহিমার গলা চেপে ধরেন। মুহূর্তে অন্য আসামিরা ফাহিমার দুই হাত ও পা চেপে ধরেন। ঈমন পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। পরে সোহেল ছুরি দিয়ে শিশু ফাহিমার পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন। রবিউল শিশু ফাহিমার যৌনাঙ্গ টেনে ছিঁড়ে ফেলেন এবং পেট থেকে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে ফেলেন। এ সময় শিশু ফাহিমা যন্ত্রণায় ছটফট করলে তিনি মাথা চেপে ধরে রাখেন এবং লাইলি আক্তার ফাহিমার ঘাড় ভেঙে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘কিছু নমুনা জব্দ করা হয়েছে। তবে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরিটি গোমতী নদীতে ফেলে দেওয়ায় তা এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, গতকাল শনিবার আসামিদের রিমান্ডের তৃতীয় দিন ছিল। এরই মধ্যে বাবাসহ চারজন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার তাঁদের আদালতে তোলা হবে।