চৌদ্দগ্রামে এবার ৪৭ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে। বিভিন্ন অনাবাদি জমিগুলোকে কৃষকেরা চাষযোগ্য করে তুলে মিষ্টি আলুর চাষ বাড়িয়েছেন। যা গত মৌসুমের চেয়ে ১৭ হেক্টর বেশি। এদিকে আলুর ফলন ভালো এবং আশানুরূপ দাম পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। সেই সঙ্গে কৃষি অফিসের সহযোগিতা থাকায় উপজেলায় এর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকেরা ৩০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করেন। এবার তা বেড়ে ১৭ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ করা হয়েছে।
এবার উপজেলায় তৃপ্তি বারি মিষ্টি আলু-১, কমলা সুন্দরী, বারি মিষ্টি আলু-২ ও দৌলতপুরী বারি মিষ্টি আলু-৩-সহ একাধিক জাতের চাষ হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুখেতের তেমন একটা সমস্যা হয়নি। অন্যান্য ফসল থেকে মিষ্টি আলুতে লাভ বেশি। উপজেলা কৃষি অফিস তাদের সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
উজিরপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি এবার ৩৫ শতক জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ করেছি। বাজারে এ আলুর দাম ভালো। আবাদেও খরচ কম।’
অপর কৃষক মফিজুর রহমান বলেন, ‘মিষ্টি আলু চাষ করা একদম সহজ। খরচ কম। বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমি এবার ২০ শতক জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়াতে আমি খুশি। ভবিষ্যতে বেশি করে এ আলুর চাষ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মিষ্টি আলুর বহু গুণাগুণ রয়েছে। এ আলু চাষে তেমন কোনো খরচ নেই। মিষ্টি আলু পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদ্পিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এ আলুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে। যা মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর চাষের মাধ্যমে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি।