কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিবহন ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত বিআরটিসি বাসের সেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের চলাচলের জন্য ফিটনেসবিহীন বাস দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি হলে বাসের ছাদের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। জানালার কাচ নেই, যেসবে আছে তাও বেশির ভাগ প্রয়োজনমতো বন্ধ বা খোলা যায় না। এতে রোদে গরমে এবং বৃষ্টিতে কাকভেজা হতে হয়।
গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এমন একটি বাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাওয়ার পথে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বাসের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বৃষ্টিতে ভিজে যান। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
সরেজমিন দেখা যায়, বিআরটিসির বাসের অধিকাংশ জানালার কাচ নেই। এতে বৃষ্টি ও প্রখর রোদে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আতিকুর রহমান শিপন নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘একেবারেই অস্বস্তিকর অবস্থা। বাসের অকেজো জানালার জন্য আসনে বসাও সম্ভব ছিল না। নিরুপায় দাঁড়িয়ে কাকভেজা অবস্থায় যেতে হয়েছে।’
ফাহিম আহমেদ নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘উপায়ন্তর না দেখে বাসের ভেতরেই আমি ব্যাগ থেকে ছাতা বের করি। লজ্জার বিষয়হলেও বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতা মেলতে বাধ্য হই।’
ভোগান্তি সম্পর্কে পরিবহন পুলের সেকশন অফিসার জাহিদুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। বিষয়টি লজ্জাজনক। এটি নিয়ে আমি বিআরটিসির ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলব। বাসগুলো আমরা ভাড়ায় নিয়ে আসি, তারা এ রকম বাস কেন পাঠায়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যা করার দরকার সেটি করছি।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের পাশাপাশি ৯টি বিআরটিসির ভাড়া বাস রয়েছে। তবে বাসগুলোর সেবা নিয়ে মাঝেমধ্যেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।