Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, ব্যবসায়ীর বয়ান

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি

জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, ব্যবসায়ীর বয়ান

বদরগঞ্জে আব্দুল মজিদ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বদরগঞ্জ ও পার্বতীপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাখানেক চলা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নিহত মজিদের স্ত্রী বিলকিস বেগম, ছেলে সাকিব আহমেদ, বন্ধু মুকেশ চন্দ্র রায় নিক্সন, প্রতিবেশী মিন্টু মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মজিদকে ডেকে এনে কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গোপন কক্ষে এক দফা নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে মানিক চেয়ারম্যান তাঁকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেউ যাতে মানিক চেয়ারম্যানকে সন্দেহ করতে না পারেন সে জন্য হাসপাতালসহ তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার সব ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়।

মজিদ দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। তাঁর বাড়ি পার্বতীপুরের জমিরহাট তকেয়া গ্রামে।

পুলিশ ২৮ মে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মজিদের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার ছয় দিন পর ২ জুন তাঁর স্ত্রী বিলকিস দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত রামনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সাইদার আলীকে গ্রেপ্তার করে।

বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, ‘ওই ঘটনায় এজাহারভুক্ত সাইদার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান মানিকসহ অন্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

ব্যবসায়ীর বয়ান: মজিদ হত্যার ঘটনায় আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। ঘটনার দিন মজিদের মোটরসাইকেলে বসেছিলেন চেয়ারম্যান মানিকের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হাফিজুর। মজিদকে প্রথমে চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল শোরুমে এবং পরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়।

সেখানে চেয়ারম্যানের ঘরে কয়েকজন ব্যক্তি মজিদকে কিলঘুষি মারাসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ফোনে তাঁর ছবি ধারণ করেন। এমন দৃশ্য দেখছিলেন বুদারু দাস (৫৫) নামের এক বাঁশ ব্যবসায়ী।

বুদারুর বাড়ি পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামে। তিনি বলেন, ‘২৮ মে আমি সাবেক মেম্বার সাইদারের মাধ্যমে তাঁর এলাকায় ২০ হাজার টাকার বাঁশ কিনছিলাম। ওই দিন সকালে সাইদার আমার কাছ থেকে বাঁশ মালিককে দেওয়ার জন্য ১২ হাজার টাকা নেন। বাঁশ ভ্যানে তোলার সময়ে সাইদারকে দুই ব্যক্তি এসে একটি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। তখন মালিক বাঁশের টাকা না পাওয়ায় বাঁশ ভ্যানে তুলতে দেননি। পরে জানতে পারি সাইদার চেয়ারম্যান মানিকের বাড়িতে গেছেন। স্বপন নামের একজনের সহযোগিতায় বিকেলে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাই। সেখানে দেখি কয়েকজন ব্যক্তি মজিদের নাম নিয়ে তাঁকে কিলঘুষি মারছেন এবং মোবাইলে ছবি ধারণ করছেন। এ সময় আমি সাইদারের কাছে বাঁশের ১২ হাজার টাকা চাইলে তিনি বলেন, আমাকে যারা মোটরসাইকেলে নিয়ে এসেছেন তাঁরা টাকা কেড়ে নিয়েছেন। আমি টাকা না পেয়ে বিকেলে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ফিরে আসি। তবে আমি থাকা অবস্থায় মজিদ মারা যাননি। পরে শুনতে পাই তিনি মারা গেছেন।’

এদিকে পৌর শহরের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ২৮ মে মজিদ উপজেলা পরিষদের সামনে মোটরসাইকেলে ছিলেন। তাঁর সামনে এসে দাঁড়ান হাফিজুর। এরপর হাফিজুর মোটরসাইকেলে বসে মজিদকে নিয়ে যান এক মিটার দূরে মানিকের শোরুমে। এর কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে মজিদকে বের করে একটি মোটরসাইকেলের মাঝে বসিয়ে চলে যাওয়া হয়।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ