নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রত্যেক প্রার্থীর পাঁচজনকে মাস্টার ট্রেনার হিসেবে ৩০০ আসনের প্রায় ১০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করবেন রিটার্নিং অফিসার। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ইসির জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে ইসি সচিবালয়।
জানা যায়, এখন পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৯৩৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৫১৯ জন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র হিসেবে ৪১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থীর পাঁচজন মাস্টার ট্রেনারকে আমরা প্রশিক্ষণ দেব। ওই মাস্টার ট্রেনাররা প্রার্থীর বাকি এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবেন।’
আগের দিন ব্যালট পাঠাতে চান ডিসি
সিলেটের দুটি আসনের ১৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠাতে চান জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শেখ রাসেল হাসান। ইসি সচিবের কাছে এরই মধ্যে তিনি এক চিঠিতে এ বিষয়ে অনুমতি চেয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং অফিসারের প্রস্তাব ও সরেজমিন পরিদর্শন হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট জেলাধীন দুটি সংসদীয় আসন সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ নির্বাচনী এলাকার মোট ১৬টি দুর্গম ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এই অবস্থায় ভোট গ্রহণের আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠাতে অনুমতি চেয়েছেন তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তথ্য চেয়েছে কমিশন
নির্বাচন কমিশন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা চাওয়া হয়েছে। পুলিশ এটা চূড়ান্ত করলেই তা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ বা কেন্দ্র আছে কি না, সেটি তারা (নির্বাচন কমিশন) জানতে চেয়েছে। পুলিশ আজকের (গতকাল) মধ্যেই তালিকা করে ফেললে তা সন্ধ্যার মধ্যে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।