ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে হামিদুল ইসলাম জনি (২৪) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলা শহরের কসাই মোড় এলাকার নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশ থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আতিয়ার রহমান মুন্সীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, নিহত হামিদুল ইসলাম জনি ওই এলাকায় ‘মুন্সী মোবাইল হাউস’ নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই দোকান থেকে কয়েক দিন আগে অপু নামের এক ব্যক্তি বাকিতে একটি মোবাইল ফোন কেনেন।
কয়েক দিন ধরে অপুর কাছে হামিদুল বকেয়া টাকা চাইছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার রাতেও হামিদুল ফোন করে টাকা চান।সকালে অপু দোকানে এসে জনিকে বলেন তিনি তাঁকে টাকা দেবেন না। এ সময় দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপু চলে যান। পরদিন গতকাল দুপুরে অনেকের সঙ্গে মসজিদে নামাজ পড়তে যান জনি। এরপর দোকানে ক্রেতারা এসে তাঁকে না পেয়ে ফিরে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে বাজারের অন্য দোকানিরা জনিকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় দোকানের পাশের গলিতে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
নিহতের বাবা আতিয়ার রহমান মুন্সী জানান, তাঁদের গ্রামের এক ব্যক্তি জানায় যে, তাঁর ছেলেকে কারা যেন মেরে ফেলেছে। পরে তিনি এসে দোকানের পেছনে ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনজু রাসেদ জানান, ছেলেটা খুবই নম্র-ভদ্র ছিল। বাজারে তাঁর একটি মোবাইল ফোনের দোকান রয়েছে। দুপুরে দোকান খোলা রেখে বাজারের পাশের একটি মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল। নামাজ শেষে আর দোকানে ফিরে না এলে অন্য দোকানিরা তাঁকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে দোকানের পাশের গলিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘শুনেছি জনি কিছুদিন আগে বিয়ে করেছে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি তাদের বাড়ি যাচ্ছি।’
হরিণাকুণ্ডু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, নিহতের গলায় ছুরির দাগ রয়েছে। তাঁর দুই কবজিতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা হওয়ার পর অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করা হবে।