ভোলার লালমোহনের চর কচুয়াখালীর ও চর শাহজালালের শিশুরা এখনো পায়নি ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি পালিত হলেও দুই চরের শিশুরা এ থেকে বঞ্চিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসেব অনুযায়ী, লালমোহনের বিচ্ছিন্ন চর কচুয়াখালীতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল পাওয়ার আওতায় রয়েছে ২৭২ জন শিশু। অপরদিকে চর শাহজালালে শিশু রয়েছে প্রায় ৫০টি। তবে এই অঞ্চলে প্রকৃত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক। নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও চরাঞ্চলের শিশুরা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল পায়নি। এ কারণে চরবাসীকে অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছ বলে মনে করছেন লালমোহনের সচেতন মহল।
শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়ে কথা হয় চর কচুয়াখালীর বাসিন্দা কামাল, ফরিদ, সিরাজ ও চর শাহজালালের বাসিন্দা মজিদ মুন্সি, মো. আলাউদ্দিন ও মো. নূরে আলমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের শিশুরা। এতে করে তাদের শারীরিক গঠন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে। এতে করে চরম ঝুঁকি নিয়ে বেড়ে উঠছে এ চরের শিশুরা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের দাবি, দ্রুত ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল প্রদানসহ শিশুদের সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা।
শুধু ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলই নয়। বরং করোনার ভ্যাকসিন থেকেও দূরে রয়েছেন এসব অঞ্চলের মানুষেরা। উপজেলা সদরে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকলেও লালমোহনের বিচ্ছিন্ন চর কচুয়াখালী ও শাহজালালের বাসিন্দাদের কাছে এখনো ভ্যাকসিনের খবর পৌঁছেনি। এতে করে করোনা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে এই বিচ্ছিন্ন দুই চরের মানুষের মাঝে।