দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। দুদিন আগেও যে কাঁচা মরিচ ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সেই মরিচ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. রুম্মান আক্তার জানান, এ বছর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের মরিচ আবাদ হয়েছে। আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের আবাদ ও ফলন ভালো হয়েছে। এতে কৃষকরাও লাভবান হয়েছেন।
বাজার করতে আসা শাহিনুর ইসলাম নামে একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছিল। দুই দিন হলো দাম কিছুটা কমেছে। তবে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি ভারী বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন।
হোটেল ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘হোটেলে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজির মতো কাঁচা মরিচ কিনতে হয়। কিন্তু দাম বাড়ার কারণে চাহিদা মেটাতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে দাম কমে যাওয়ায় এখন চাহিদামতো কিনতে পারছি।’
পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহাজামাল বলেন, ‘দেশি কাঁচা মরিচের দাম কমছে। এ কারণে পড়তা না থাকায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। নওগাঁ ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ দিয়েই কয়েক দিন ধরে এ অঞ্চলের চাহিদা মিটছে।’
শাহাজামাল আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া কিছুটা ভালো হওয়ায় কৃষকেরা খেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলে বিক্রি করছেন। এতে সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমতির দিকে রয়েছে।