মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করছে। সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কের পূর্ব পাশে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথ গ্রামের শ্মশানঘাট নামক এলাকার ইছামতী নদীর শাখা খালের ওপর দিয়ে ৩০-৩৫ বছর আগে নির্মিত হয় সেতুটি। এখন একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। সেতুটির মাঝখানে বড় আকারের একটি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত হচ্ছে। এ ছাড়া সেতুর দুই পাশের রেলিং না থাকায় শিশু-কিশোর, বয়স্ক, প্রতিবন্ধীসহ হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, চরবিশ্বনাথ গ্রামের শ্মশানঘাট নামক এলাকার ইছামতীর শাখা খালের ওপর দিয়ে প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে নির্মিত হয় সেতুটি। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন বাসাইল ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথ, পাথরঘাটা, ঘোড়ামারা, গুয়াখোলা ও সতুরচর গ্রামের প্রায় হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। অনেক পুরোনো সেতু হওয়ায় অনেক দিন থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে মাঝখানে বড় আকারের একটি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে আরও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের আশঙ্কা যেকোনো সময় সেতুটি খালের মধ্যে ধসে পড়তে পারে। তাই দুর্ঘটনার আগেই নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
চরবিশ্বনাথ গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ‘সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এখন মাঝখানে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। তাই নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
অটোরিকশাচালক মো. জয়লান ব্যাপারী বলেন, ‘এই সেতু অনেক দিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই এখনই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। তাই নতুন একটি সেতু নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি।’
বাসাইল ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম মনু বলেন, ‘এই ব্রিজটির বিষয়ে আমি একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তা ছাড়া আরও অনেককেই জানিয়েছি। এটা একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। এই ব্রিজ দিয়ে এখন চলাফেরা করাই যায় না, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।’
বাসাইল ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ বলেন, ‘এই ব্রিজের বিষয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসন, ডিসি স্যারসহ অনেককেই জানিয়েছি। তাঁরা এই ব্রিজের বিষয়ে কোনোভাবেই গুরুত্বসহকারে দেখছেন না। এটা যেকোনো সময় ভেঙে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই তাঁরা যেন তাড়াতাড়ি একটা উদ্যোগ নিয়ে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেন, এটা আমাদের দাবি।’
উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির কথা শুনেছি। অনেক বছর আগে নির্মিত হয়েছে। আগামী অর্থবছরে ব্রিজটির জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।’