সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার নগরঘাটায় ধান ছেড়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। টমেটোর ভালো ফলন হওয়ায় অনেক কৃষক নতুন করে টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
নগরঘাটা গ্রামের চাষি মো. রবি সরদার জানান, প্রতি বিঘা জমিতে টমেটো আবাদে খরচ হয় লাখ টাকারও কম। সর্বনিম্ন বিক্রি হয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। বিঘাপ্রতি অন্তত ২ লাখ টাকা লাভ পাওয়া যাচ্ছে।
এই ইউনিয়নের চাষিরা মূলত বারি-৮ ও বারি-৪ জাতের টমেটোর আবাদ করেছেন। ফলন, মান ও চাহিদানুযায়ী ভালো দাম পাওয়ায় মূলত চাষিরা এ দুই জাতের টমেটোই বেশি চাষ করছেন।
রবি নামের এক কৃষক জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁর খেত থেকে টমেটো উঠতে শুরু করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বিঘাপ্রতি তাঁর দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ওপরে লাভের আশা করছেন। সার, কীটনাশকের দাম বেশি হলেও চাহিদামতো পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া একই এলাকার মাসুদ হোসাইন, হামিদুর রহমান বাপ্পী, আসাদুর রহমান, মো. মতিন, কওসার আলী, আইয়ুব আলীসহ অনেকে টমেটো চাষ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশে থাকায় সারা বছর সবজির চাহিদা পূরণ করতে গ্রীষ্মে উদ্ভাবিত জাতের টমেটো চাষ করেছেন এই এলাকার কৃষকেরা। সাদা পলিথিনের ছাউনি দিয়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ খুবই সহজ। এ বছর টমেটোর আবাদ ভালো হয়েছে। অধিকাংশ খেতে ইতিমধ্যে টমেটো উঠতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ৭০-৮০ টাকায়। অসময়ে পাকা টমেটোর উপস্থিতি সবজির বাজারে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। দাম বেশি হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় বাজারে গর্বিত চাষি হিসেবে তাঁরাও আনন্দিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম জানান, কয়েক বছর ধরে নগরঘাটায় টমেটো চাষ বেশ সাড়া জাগিয়েছে। কৃষি অফিসের মাধ্যমে তাঁদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।