ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণের কারণে শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে পকেট গেট নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। গতকাল রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে শতাধিক পরিবারের তিন শতাধিক সদস্য এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তারা তাঁদের দাবির স্বপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেছি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রাস্তায় বসার উপক্রম হচ্ছে। আমরা নিজেদের সর্বস্ব বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের স্থানে বাসাবাড়ি করে নিজেরা থাকছি। ঘর ভাড়া দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বিল, ডোবা ও ফসলি জমি থাকায় আলাদা চলাচলের ভালো কোনো সড়ক নেই। আমাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পকেট গেট নির্মাণের মাধ্যমে আমাদের চলাচলের পথ সুগম করুক।’
স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বাচ্চু মাস্টার বলেন, ‘আমরা ১০ একর ভূমি এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেছি। নিজেদের টাকায় রেজিস্ট্রি করে দিয়েছি। এত দিন যাবৎ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবহার করেই চলাচল করে আসছি। আমরাও এ নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের দাবি, পকেট গেট নির্মাণের মাধ্যমে আমাদের চলাচলের পথ সুগম করে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান গনি কুসুম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে আমাদের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বাসা-বাড়ি, বিল, ডোবা ও ফসলি জমি থাকায় আলাদা চলাচলের ভালো কোনো সড়ক নেই। বিশ্ববিদ্যালয় আশপাশের জমি অধিগ্রহণ না করে প্রশাসন সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা বেকায়দায় পড়েছে। প্রশাসন যেন এসব দিক লক্ষ্য করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে।’
মানববন্ধন শেষে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রধানমন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও স্থানীয় সাংসদ বরাবর স্মারকলিপি দেন।