কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরে দুর্ঘটনায় পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘মেরিন ট্রাস্ট-১’ এর আরও ৪ নাবিক মুক্তি পাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) কলকাতার মেরিনক্লাব থেকে তাঁরা বাংলাদেশে ফিরতে পারেন।
১৫ জন নাবিকের মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাসের বেশি সময় কলকাতার মেরিন ক্লাবে আটক থাকার পর গত ২৪ আগস্ট ৯ জন নাবিক ছাড়া পান। আরও ৬ নাবিক কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরের মেরিন ক্লাবে আটকে আছেন। আটক থাকা ৬ নাবিকের মধ্যে ৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতায় দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ মেসার্স মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মো. সাকেবুল ইসলাম ৪ নাবিকের মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার মেরিনক্লাব থেকে ৪ জন নাবিক দেশে ফিরতে পারেন। মুক্তি পেতে যাওয়া ৪ নাবিক হলেন, চিফ অফিসার অনিমেষ সিকদার, ইনল্যান্ড মাস্টার আসগর আলী, দ্বিতীয় প্রকৌশলী শাহ পরান খান এবং ফরহাদ সিকদার। যে দুজন নাবিককে এখনো কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আটক থাকতে হচ্ছে তাঁরা হলেন, ক্যাপ্টেন একেএম মুছা ও প্রধান প্রকৌশলী ফাহিম ফয়সাল।
গত ২৪ মার্চ কনটেইনার বোঝাই করার সময় কলকাতায় শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরের ৫ নম্বর বার্থে কাত হয়ে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ মেরিন ট্রাস্ট-১। এ সময় জাহাজটিতে ১৫ জন নাবিক ছিলেন। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশি জাহাজের ওপর চার্জ আরোপ ও তদন্তের স্বার্থে তাঁদের সেখানে আটক রাখা হয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের নৌ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভারতে নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর দেওয়া এক পত্রে বাংলাদেশি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। ২৯ আগস্ট তাঁদের মধ্যে ৯ নাবিককে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি ৬ জন নাবিক ৮ মাস ধরে কলকাতার সিমেন্স হোস্টেলে আটকে থাকেন। তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে আজ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনায় কাত হয়ে পড়া মেরিন ট্রাস্ট-১ জাহাজটি উদ্ধার করা হয়। জাহাজটি বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য কলকাতা বন্দরের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।
আটক থাকা বাকি দুজন বাংলাদেশি নাবিকেরা কখন দেশে ফিরবেন তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটছে না। তাঁদের পরিবার পরিজনও চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
মো. সাকেবুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁদের মুক্তি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে। আমরা কলকাতায় শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কিন্তু তাঁদের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।’