শুধু ওপার বাংলায় নয়, বাংলাদেশের হলেও মুক্তি পেয়েছে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’। রাজধানীর ৪টি ও চট্টগ্রামের ১টি হলে গতকাল থেকে চলছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত এই সিনেমা। দেখা যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সের ঢাকার তিনটি শাখায়—বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, সনি স্কয়ার। এ ছাড়া ব্লকবাস্টার ও চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনেও দেখা যাচ্ছে এই সিনেমা। বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও মুক্তি পেয়েছে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’।
এটা ‘কাকাবাবু’ ট্রিলজির তৃতীয় অংশ। মরুভূমি, পাহাড় হয়ে গল্প এখন আফ্রিকার জঙ্গলে এসে দাঁড়িয়েছে। এর আগে এত বেশি জীবজন্তু নিয়ে বাংলায় সিনেমা হয়নি। ভিএফএক্সের মাধ্যমে তৈরি নয়, সত্যিকার জীবজন্তু দেখা যাবে, এটাই কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের বিশেষ এক দিক। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিবার নিয়ে দর্শক সিনেমা হলে যাবে কি না জানি না, যদি যায় তবে ছোটরা খুব আনন্দ পাবে। গত দুই বছরে ছোটদের দেখার মতো কোনো ছবি আসেনি। ওদেরও তো বিনোদন দরকার।’
‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ সিনেমার শুটিং হয়েছে কেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। জিরাফ, জেব্রা, সাপ, হাতি থেকে গন্ডার, সিংহ, চিতা—সব ধরনের জীবজন্তুই রয়েছে। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘শুটিং করা তো খুবই বিপজ্জনক ছিল। একদম বন্য জন্তু নিয়েই শুটিং করতে হয়েছে। হাতি আর গন্ডারের একটা সিকোয়েন্স আছে। ওই দৃশ্যে কাকাবাবু ও সন্তু হাতি আর গন্ডারের মাঝে আটকা পড়েছে। একদিকে গন্ডারের কোনো প্রশিক্ষক ছিল না আর অন্যদিকে হাতি গর্জে উঠল। আমার আর আরিয়ানের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল। সেটা বেশ রোমহর্ষক ঘটনা।’