Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ধান উঠছে, কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্নের আমেজ

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

ধান উঠছে, কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্নের আমেজ

প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসবের আমেজ।সোনালি ফসল ঘরে তুলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।নতুন ধানের আটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি ও ক্ষীর তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামীণ নারীরা।সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁওঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসবের আমেজ। সোনালি ফসল ঘরে তুলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। বাজারে ধানের দাম বাড়তি থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন চাষিরা।  কৃষকপাড়ায় পিঠা-পুলি তৈরির ধুম পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা নবান্ন উৎসব পালনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। নতুন ধানের আটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি ও ক্ষীর তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামীণ নারীরা। 
সদর উপজেলার নারগুন গ্রামের কৃষাণী সালেহা বেগম বলেন, প্রতিবছরই আমরা নবান্ন উৎসব পালন করার চেষ্টা করি। চলতি বছর আমন ধানের ফলন ও দাম ভালো থাকায় আমরা খুশি।

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই জানান, কয়েক বছর ধরে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই নবান্নের আয়োজন করা হয়। পাশের বিলপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের বলেন, একই দিনে গ্রামের সবাই মিলে নবান্ন উৎসবের আয়োজনে খুব মজা হয়। নবান্নের দিনে নতুন ধানের পিঠা-পায়েসসহ ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বিশেষ প্রার্থনা করা হবে, যাতে আগামী দিনেও মহাধুমধামের সঙ্গে নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন করতে পারি। আখানগর ইউনিয়নের কৃষক সাহাবউদ্দিন জানান, তিনি ইতিমধ্যে পাঁচ বিঘা জমির ধান কেটেছেন। ফলন খুবই ভালো হয়েছে বলে জানান। ওই এলাকার মাজেদুর রহমান বললেন, বৃষ্টি ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হলেও শেষ মুহূর্তে ফলন ভালোই হয়েছে। 
ঠাকুরগাঁও সরকারি রিভারভিউ স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি আশরাফ উল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। কিন্তু নবান্নের এই উৎসব আমাদের জীবন থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবার জেলার পাঁচটি উপজেলায় এক লাখ ৩৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে চলছে। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা অনেকটাই খুশি। বাজারে মোটা ধান এক হাজার ৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে এলাকার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষকেরা নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছেন। জেলাজুড়ে কৃষক পরিবারে চলছে আনন্দের জোয়ার। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি