হোম > ছাপা সংস্করণ

‘ঘুষ’ ছাড়া নড়েন না নেসকোর প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সেবাগ্রহীতারা জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কর্মকর্তার নাম রায়হানুল ওয়াজিদ। তিনি নেসকোর গোদাগাড়ীর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সময়মতো অফিসে আসেন না রায়হানুল। কয়েক দিন ঘুরে তাঁর সাক্ষাৎ পেলেও যেকোনো কাজের জন্য ঘুষ দাবি করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত হলেও প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে পারেননি অভিযোগকারীরা। নেসকোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী এখনো বহাল গোদাগাড়ী কার্যালয়ে। এ কারণে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় গ্রাহকেরা। তাঁরা ওই প্রকৌশলীকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেসকোর ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গত জুনে লিখিত অভিযোগ করা হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে। এতে গোদাগাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি শান্ত কুমার মজুমদার, নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এস এম বরজাহান আলী পিন্টু, গোদাগাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ফজিলাতুন নেসা, প্যানেল মেয়র-৩ শহিদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমদাদুল হক মুকুল ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর কবির তোতা স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের গোদাগাড়ী উপজেলার দায়িত্বে থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ গোদাগাড়ীতে অবস্থান করেন না। থাকেন রাজশাহী শহরের নিজ বাড়িতে। বেলা ১১টা থেকে ২টার মধ্যে তিনি অফিসে আসেন। ২-৩ ঘণ্টা অবস্থানের পর আবার শহরে চলে যান।

অভিযোগকারীরা বলছেন, যেকোনো কাজের জন্য দাপ্তরিক খরচের বাইরেও এই প্রকৌশলীকে ৩-৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয়। এই বিদ্যুৎ অফিসের সার্ভেয়াররাও ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পুনরায় নিতে গেলে ঘুষ দিতে হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। থ্রি ফেজের সংযোগের জন্যও লোড অনুযায়ী ঘুষ দিতে হয় বিদ্যুৎ অফিসে। এ ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।

নেসকো বলছে, অভিযোগ পাওয়ার পর দুই দফা তদন্ত হয়েছে রায়হানুল ওয়াজিদের ব্যাপারে। তবে অভিযোগকারীরা বলছেন, তদন্তের বিষয়ে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।

পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’ 
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ বলেন, ‘আমার অফিসের ব্যাপারে কথা বলতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে। তা না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি কোনো কথা বলব না।’

গত বুধবার জানতে চাইলে নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি গত জুলাই মাসে। তার আগে প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদের ব্যাপারে একবার তদন্ত হয়েছে। আমি আসার পরও একবার তদন্ত হয়েছে। তদন্তে কী পাওয়া গেছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখে ব্যবস্থা নেবে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন