ছেলের চেয়ে মায়ের বয়স পাঁচ বছর বেশি। এমন ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের মোছা. সুরাইয়া ও ছেলে মো. শাহজাহান মিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি)। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সুরাইয়ার জন্ম ১৯৮০ সাল। আর ছেলে শাহজাহানের জন্ম সাল ১৯৮৫। তবে সুরাইয়ার দাবি, প্রকৃত বয়স বেশি হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর বয়স কম লেখা হয়েছে। এতে বয়স্ক ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।
মা ও ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. রিয়াজউদ্দিনের স্ত্রী সুরাইয়ার জন্ম তারিখ ১৯৮০ সালের ১০ জুলাই। আর ছেলে শাহজাহান মিয়ার ১৯৮৫ সালের ১ জানুয়ারি। সে হিসাবে সুরাইয়ার বয়স ৪১ এবং ছেলে শাহজাহানের বয়স ৩৬ বছর। অর্থাৎ ছেলের চেয়ে মায়ের বয়স মাত্র ৫ বছর বেশি।
এ বিষয়ে সুরাইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর জন্ম। এর অন্তত দুই বছর পর ১৫-১৬ বয়সে তাঁর বিয়ে হয়। বর্তমানে তিনি চার সন্তানের মা। তাঁর প্রকৃত বয়স বেশি হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে লেখা হয়েছে অনেক কম। এতে এই বৃদ্ধ বয়সেও বয়স্ক ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সুরাইয়া আরও বলেন, ‘বয়স্ক ভাতার কার্ডের লাইগ্যা যাদের কাছেই যাই, তারাই কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) দেইখ্যা কয় আমার বয়স কম। তাই কার্ড আইবো না।’ ভাতা না পেয়ে আহত স্বামীকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন সুরাইয়া।
এ ব্যাপারে সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম এবং ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া জানান, নিয়ম অনুযায়ী ৬২ বছর হলে নারীরা বয়স্ক ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কম থাকলে কিছুই করার থাকে না।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মদন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হামিদ ইকবাল বলেন, ‘এমনটি হয়ে থাকলে এর দায় তথ্য সংগ্রহকারী ও তথ্যদাতা উভয়েরই। তবে এনআইডির তথ্য সংশোধনেরও উপায় রয়েছে।’