নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাফল্যের সম্ভাবনা বলতে গেলে শূন্যই ছিল, তবু বেঁচে ছিল আশা। কিন্তু প্রত্যাশা আর বাস্তবতার সেতুবন্ধন ঘটেনি। হয়নি কোনো অসাধারণ কিছু। পদকের খাতায় শূন্য যোগ করে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে ব্যর্থ এক অভিযান শেষ করেছে বাংলাদেশ।
বার্মিংহাম গেমসে বাংলাদেশের শেষ ডিসিপ্লিন ছিল কুস্তি। আগের ছয় ডিসিপ্লিনের ব্যর্থতা ধরে রেখে ভরাডুবি ঘটেছে কুস্তিতেও। বাংলাদেশের তিন কুস্তিগির দোলা খাতুন, আবদুর রশিদ হাওলাদার ও লিটন বিশ্বাস প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ের কোনো সুযোগই পাননি। জিততে পারেননি একটি পয়েন্টও। শরীরনির্ভর খেলায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা শক্তি আর কৌশলে কতটা পিছিয়ে বার্মিংহাম গেমস সেটা বুঝিয়ে দিল আরেকবার।
আগের কমনওয়েলথ গেমস থেকে বাংলাদেশের যত অর্জন, সবই ছিল শুটিং থেকে। সাফল্য আসতে পারত আর্চারি থেকেও। কিন্তু এবারের কমনওয়েলথ গেমসের ডিসিপ্লিন থেকে শুটিং আর আর্চারিকে বাদ দেওয়ায় চিন্তায় পড়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। সাত ডিসিপ্লিনের ব্যর্থ এক অভিযানে অর্জন শুধু ‘অভিজ্ঞতা’। অতীতেও বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, এবারও করলেন। কিন্তু এত অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগে, সেই উত্তর এখনো অজানা। ভালো মানের কোচ, উন্নত সুযোগ-সুবিধা আর দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ছাড়া যে পদক আসে না, সেটা জেনেও উদ্যোগ নেন না কর্মকর্তারা।
সলিডারিটি গেমস শুধু ইসলামিক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর হওয়ায় আছে পদকের সম্ভাবনাও। কমনওয়েলথ থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা তুরস্কে কাজে লাগাতে পারলে একবারে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হবে না অ্যাথলেটদের।