Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

নীলফামারী প্রতিনিধি

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

নীলফামারীর ডোমারে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে রাজাকারের সন্তান আখ্যা দিয়ে অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাঁদের পরিবারবর্গ।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ। এরই প্রতিবাদে অনুষ্ঠান বর্জন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় সাবেক কমান্ডার নূরন্নবী, সাবেক কমান্ডার আব্দুল জব্বার, সাবেক পৌর কমান্ডার ইলিয়াছ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানিসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানের মাঠ ত্যাগ করেন।

ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুন্নবী অভিযোগ করে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর সন্তানের মাধ্যমে শহীদদের রক্ত আর মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে পাওয়া লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন আমরা মেনে নিব না।’

সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ত্রিশ লাখ শহীদদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা যুদ্ধাপরাধীর সন্তান উত্তোলন করবে, এটা দুঃখজনক।’

বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আসাদুজ্জামান চয়ন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ একজন যুদ্ধাপরাধীর সন্তান। তাঁর বাবা, নানা ও দাদা রাজাকার ছিলেন। তাঁর হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা সুরক্ষিত নয়।’

ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. আল-আমিন রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পরিবারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি সব সময়ই আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের অপমান করে আসছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে সব সময় তিনি প্রতিহত করার অপচেষ্টা করেন।’

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুন্নবী উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁর এসব অভিযোগ মনগড়া। অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের ডাকে সাড়া না দিয়ে অনুষ্ঠান স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা শবনম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর আগে, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের জন্য তোফায়েল আহমেদের নাম ঘোষণা করায় সেই অনুষ্ঠান বর্জন করেছিলেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ